আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যখনই আপনারা আপনাদের সন্তানদের অন্য কারও সাথে তুলনা করেন তখন তার প্রচুর রেগে যার নানা বাজে মন্তব্যও করে ফেলে কারন কোন মানুষ তার সাথে অন্য কারও তুলনা পছন্দ করে আর এটাই স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু আমরা ভাবি যে অন্য কারো সাথে তুলনা করে বা অন্য কারো কথা নিজের সন্তানর সামনে বললে সে হয়তো সেটা শুনে তার অভ্যস এর পরিবর্তন আনবে কিন্তু আসলে বিষয়টা তখন বিপরীত হয়ে যায় তাই কখনোই নিজের সন্তানদের অন্য কারো সাথে তুলনা করেবন না কারন প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন ভাবে বানিয়েছেন ।
সর্বোপরি অহংকার মানুষের মানুষিক কষ্ট বাড়িয়ে দেয় এবং মানুষ তার কষ্টের কারনও খুজে পায় না, আর পাবে কিভাবে সে তো তখন নিজেই এই পরিস্থিতি নিজেই তৈরি করে ফেলে, আসলে আমরা বার বার ভুলে যাই যে পৃথিবীতে সবকিছুই ক্ষনস্থায়ী তাই কোন কিছুকে ধরে রেখে সেটা নিয়ে বড়াই করার মধ্যে কোন বিরত্ব নেই তাই অহংকার কে ছুড়ে ফেলে একটি সাভাবিক জীবন-যাপন করার মত আনন্দ আর কিছুতে নেই।
সমালোচনা শব্দটি একটি কেমন নেতিবাচক শব্দ আপনার সন্তান আপনার তাই কখনই সন্তাদের কখনই সমালোচনা করবেন না। আপনি যখন আপনার সন্তানকে নিয়ে সমালোচনা করবেন তখন তার উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং আপনার এবং আপনার সন্তাদের মধ্যে সর্ম্পকের দূরত্ব সৃষ্টি হবে এবং আপনার প্রতি আপনার সন্তানের ভালোবাসা কমবে এবং শ্রদ্ধা ভক্তি কমে যাবে । আর সর্বোপরি সমালোচনা সন্তানের কেন কারই করা উচিত না কারন এটি নেতিবাচক সভাব যা আপনার মানুষিক অসান্তির কারন হতে পারে । তাই সমালোচনা থেকে দূরে থাকুন সর্ম্পক এবং মানুষিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন ।
প্রশংসা করতে পারাও মানুষের একটি ভালো বৈশিষ্ট তাই সব সময় সবার প্রশংসা করার চেষ্টা করুন, কারো ভালো কোন কাজকে প্রশংসা করার চেষ্টা করুন কারন তাতে সেই মানুষটি খুশি হবে এবং আরও ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে এবং মা, বাবার প্রশংসা সবসময় করুন কারন তারা জীবনে অনেক কাঠখর পুড়িয়ে আপনাদের মানুষ করেছে তাই সর্বোপরি সবার প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন ।
মানুষের যখন রাগ হয় তখন মানুষ তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মনে যা আসে তা মুখ দিয়ে বলে ফেলে কিন্তু তখন সে কি বলছে সেটা তার কাছে উপলব্ধি হয় না পরে যখন উপলব্ধি হয় তখন সে অনুতপ্ত হয় কিন্তু তখন আর অনুতপ্ত হয়ে আর লাভ হয় না কারন বন্ধুকের গুলি আর মানুষের মুখের কথা ফেরত যায় না যে কষ্ট পাওয়ার সে তো কষ্ট পেয়েই যায় এবং ঈর্ষান্বিত কোন শব্দ ব্যবহার হয় তখন যেটি মানুষের শত্রুও সৃষ্টি করে ফেলে । তাই রাগ হলে সাথে সাথে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য একা সময় দিন বিষয়টা নিয়ে না ভেবে কিছুক্ষন খালি সময় কাটান । রাগ কমে গেলে তখন বিষয়টা নিয়ে ভাবুন এবং কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা বের করুন।
উপরের ভাবনাটি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একটু ভাবুন, আপনি যখনই অনুভব করা শুরু করেন যে আপনার অসুস্থ অনুভব করছেন তখনই দেখবেন যে আপনি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে সবসময় অহেতুক ভাবনা থেকে দূরে রাখতে হবে এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে কোন জিনিস গুলো আপনার মানুষিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং কোন খাবারগুলো আপনার শারিরীক স্বাস্থ্য ভালো রাখে সেই জিনিস গুলো করুন এবং সেই ধরনের খাবরগুলো খান এবং যে কোন শারিরীক ব্যয়ামই শরীর ও মনকে সুস্থ্য রাখে ।
যত বড় সুযোগ তত বড় সমস্যা এবং এই সমস্যা সমাধান করেই আজ পৃথিবীতে অনেক সফল মানুষ হয়েছে যারা পৃথিবীর কল্যাণে অবদান রেখেছেন তাই আপনি যখন বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন তখন তার সাথে সাথে বড় সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ বেড়ে যাবে ।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে---“NO RISK NO GAIN”
উপরের উক্তিটি বুঝতে হয়তো একটু অসুবিধা হচ্ছে তাই না, চলুন একটু বোঝার চেষ্টা করি আসলে এই ভাবনাটির পিছনে কি রহস্য রয়েছে। আপনারা অনেকেই জানেন যে কিভাবে কতবার চেষ্টার পরে লাইট আবিষ্কার হয়েছিল, কতবার চেষ্টার পরে কেনটুকি(কেএফসি) তার ভাজা মুরগি বিক্রি করতে পেরেছিল এবং কত বার চেষ্টার পরে ইলন মাস্ক তার স্পেস এক্স কোম্পানিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোম্পানী করে তুলেছে তার সবাই একটি কমন কাজ করেছে আর সেটা হলো তাদের ত্রুটিগুলো বার বার সংশোধন করেছে, এবং সমাধান না করা পর্যন্ত সেটার পিছনে লেগেছিল তাই তাদের ত্রুটিগুলো কখনোই ভুলে পরিণত হয়নি ।তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের ত্রুটিগুলোকে বারবার সংশোধনের মাধ্যমে নিজের সফলতার দিকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
Author: Rahat Hossain
0 মন্তব্যসমূহ