টাক মাথা নিয়ে আরো অনেক মজার মজার কবিতা রয়েছে তবে যার মাথায় টাক সেই সেটার দুঃখ বোঝে ।
বর্তমান সময়ে খুব কম বয়সে মাথার চুল পড়ে ছেলেদের টাক হতে দেখা যাচ্ছে বলা যায় ঘরে ঘরে এই সমস্যা আবার এটাও প্রচলিত আছে যে বংশীয় বা পরিবারের যদি বাবা,চাচা বা দাদা কারো মাথায় টাক থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রেও চুল পড়ে যেতে পারে তবে পূর্বের কথা চিন্তা করলে চুল পড়ে যেত তখনও কিন্তু সেটা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কিন্তু এখন আর তেমনটা নয় এখন একটি স্কুল ছাত্র কিংবা সদ্য ভর্তি হওয়া কলেজ ছাত্র বা ও লেভেল উঠেছে এমন অনেকের মাথাই টাক হয়ে গেছে । এবং হাজার হাজার টাকা খরচ করেও এর কোন সঠিক সমাধান পাচ্ছে না , এবং সেই সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা বলা ০.১% কারন প্রাকৃতিক ভাবে কোন জিনিস শেষ হয়ে গেলে সেটা প্রকৃতির নিয়মেই ফিরে আসতে হয় ।
বাংলাদেশের মানুষের চুল পড়া প্রবণতা এত বেশি কেন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারন হলো বাংলাদেশের আবহাওয়া । আমাদের আবহাওয়া বড়ই বৈচিত্রময় তাই সেইদিকে না যাই । আবহাওয়া ছাড়াও আর একটি যে কারণ রয়েছে আর সেটি হলো আমাদের দেশে প্রচুর ধুলাবালি প্রচুর ময়লা রাস্তায় উড়ে বেড়াই আর যেহেতু আমাদের দেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ তাই হর হামেশাই কোন না কোন মেঘা প্রজেক্ট আন্ডার কন্সট্রাকশন থাকে এবং রাস্তা ঘাটে প্রচুর ধুলাবালি ও ময়লা আর্বজনা উড়ে বেড়াই এবং আমাদের প্রচুর ঘাম হয় গরমে তখন মাথা ঘেমে যা রাস্তা ঘাটের যত ধুলো বালি চুলের মধ্যে আটকে যায় এবং তখন চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দেয় তখন চুল পড়ে যায় । তাই আমি আমার ব্যাক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো যা অনুসরন করলে আশাকরি আপনাদের চুল পড়া রোধ হবে আমার মত । বেশ কয়েক বছর আগের কথা আমি আমার এক দুলাভাই যার মাথায় খুব সুন্দর বড় বড় সিল্কি চুল আছে তো আমি কথায় কথায় তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তার এত সুন্দর চুলের রহস্য কি তখন দুলাভাই আমাকে তার সুন্দর চুলের গোপন তিনটি রহস্য বলল।
পরিস্কার রাখার কারন হলো চুলো যেন কোন র্জাম এটাক না করতে পারে আর চুলে যদি কোন র্জাম এটাক না করে তাহলে চুলের গোড়া মজবুত থাকবে এবং চুলও পড়বে না।
চুলে কোন ধরনের তেল না দেয়ার কারন হলো যখন কেউ চুলে তেল দিয়ে রাস্তায় বা কোথাও যায় তখন রাস্তার যত ধুলাবালি ময়লা চুলের মধ্যে আঠার মত লেগে থাকে যার কারনে চুল একটু ভেজা ভেজা থাকে তাই চুলে কোন তেল দেয়া যাবে না তবে যাদের চুলে তেল দিলে কোন সমস্যা হয় না বা চুলের স্বাস্থ্য অনেক ভালো তারা তেল দিলেও খুব একটা সমস্যা হবে না।
চুলে প্রসাধনি ব্যবহার না করার অন্যতম কারন হলো এই প্রসাধনি গুলো বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয় যদিও এগুলো মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেই ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয় তার পরেও এগুলো চুলের গোড়াকে শক্তের পরিবর্তে আরও নরম করে দেয় এবং চুলা পড়াতে সহায়তা করে ।
চুল পড়া রোধ করতে হলে নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে অনেকেই সপ্তাহে একবার বা ১৫ দিন পরে একবার বা ১ মাসে একবার শ্যাম্পু করে তাদের ধারণা নিয়মিত শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে যায় তাই চুল পরিস্কারও থাকে না গোড়ার ক্ষতি হয়ে যায় এই কারনে প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে না পারলেও সপ্তাহে চার দিন শ্যাম্পু করা উচিত তবে একটা কথা যদি এমন কোথাও যান যেখানে প্রচুর ডাস্ট ছিল তাহলে অবশ্যই সেদিন বাসায় আসার সাথে সাথে চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
· ডিম
· বাদাম
· গাজর
· সবুজ শাক-সবজি
· মিষ্টি আলু
· লেবু
· ডাল
· মটরশুটি
· অট
· মাছ
· মাংশ
· দই
নোট:উপরন্তু বিষয়গুলো সবার যে কাজ করবে এমন না কিছু মানুষের এমনি চুল ভালো থাকে ।
Rahat Hossain
0 মন্তব্যসমূহ