· প্রাইমারীতে দুইবার ফেল
· মাধ্যমিকে তিনবার ফেল
· বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় তিনবার ফেল
· হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ বার আবেদন করেও প্রত্যাখান
· চাকরির পরীক্ষায় ত্রিশবারের মত ফেল
মানুষের জীবনে প্রতি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জ আসে আর তখনই আমরা ঘাবরে গিয়ে সেখান থেকে কোনভাবে উত্তরন হতে পারলেই ভাবি যে আমরা বেচেঁ গেছি কিন্তু আসল প্রেক্ষাপট ভিন্ন প্রতিটি চ্যালেঞ্জ গুলোর মধ্যেই কোন না কোন সুযোগ লুকিয়ে থাকে যা আমরা দেখতে পাই না কিন্তু যদি আমরা সেটা দেখার চেষ্টা করি তাহলে সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে জীবনকে পাল্টে ফেলা সম্ভব ।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ ব্যর্থ মানুষ হিসাবে বিবেচিত হবার গুরুত্বপূর্ণ্ কারন হলো কোন কিছু করার জন্য চেষ্টা না করা যেমন অনেকেই রয়েছে যাদের কাছে বিভিন্ন ভালো ভালো আইডিয়া রয়েছে যা তারা শুধু ভেবেই রেখেছে কিন্তু তারা সেই কাজটি কখনো করে দেখার চেষ্টা করেনি তাই তারা এখন পর্যন্ত জানতেও পারেনি সেখানে কোন সুযোগ আছে কিনা তাই চেষ্টাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে কোন ব্যাক্তি জানতে পারবে যে সে যেটা নিয়ে কিছু করার চিন্তা করছিল সেখানে আসলেই কোন সুযোগ আছে কিনা । তাই একবার হলেও চেষ্টা করে দেখুন জীবন বদলেও যেতে পারে ।
জীবন যে আসলেই অনেক ছোট এ কথাটি আমরা কেউ মানতে চাইনা কিন্তু এটাই বাস্তবতা । তবে জীবন ছোট হলেও এটি অত্যান্ত সুন্দর । কিন্তু আমরা যেই ভুলটা করে থাকি সেটা হলো সব কিছু বাদ দিয়ে আমরা শুধু কাজের পিছনে ছুটি আর আসল জিনিস এই জীবটাকে ভুলে জীবনকেও যে উপভোগ করা যায় সেটা ভুলে যাই টাকা, সম্পত্তির করার লোভে আমরা সবকিছুকে বাদ দিয়ে কাজকে একটু বেশি সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলি কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু কখন হবে সেটা অনিশ্চিত এটা জেনেও আমরা আমদের মত কাজ করেই যাই পৃথিবীর বিখ্যাত একজন উদ্যেক্তা স্টিভ জবস এ্যপলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি মৃত্যুর আগে যে আমি সমস্ত টাকা দিয়েও আমার ক্যান্সারকে ভালো করতে পারবো এবং প্রতিদিন একটু একটু মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি তাই সময়মত জীবনকে উপভোগ সবারই উচিত সর্বোপরি একটি কথা মনে রাখতে হবে ”কাজের জন্য জীবন না জীবনের জন্য আমরা কাজ করি”।
ব্যর্থতার জনক বলা যেতে পারে আলীবাবা.কম এর প্রথিষ্ঠাতা জ্যাকমা কে তিনি আরও বলেন ত্রিশজন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন একটি কোম্পানীতে সেখান থেকে দুইজন বাদ পরেছেন তার মধ্যে জ্যাকমা একজন ছিলেন কিন্তু তার পরে যে থেমে থাকে নি প্রতিটি ব্যর্থতাকে একটি করে সফলতার সিড়ি বানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন তাইতো তিনি সবচেয়ে জন বহুল দেশে সবচেয়ে বড় একজন ধনী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত এবং তাকে শুধু তার দেশের মানুষই জানে এমন না তিনি পুরো পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত একজন বিসনেজ ম্যাগনেট।
মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কমন সমস্যা হাল ছেড়ে দেওয়া, আমরা প্রায়ই শুনি একজন কোন একটা কিছু শুরু করেছে কিন্তু সে খুব কম সময়ে হতাশ হয়ে সেখান থেকে হাল ছেড়ে দেয় যে তাকে দিয়ে আর হবে না তাই কতিপয় ঔ ব্যক্তিগুলোই ব্যর্থ হওয়ার আগেই সফলতার মাঠে এসে হেরে যায় আর তখন সে আর একজন সফল বিজয়ী না হয়েই নিজ নীড়ে ফিরে যায় তাই হাল ছাড়া যাবে না জীবনে যত কঠিন পরিস্থিতিতেই চলে যাক না কেন শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়তে হবে কারন আপনি লেগে থাকলে হঠাৎ সুযোগ আসলে আপনি সেই সুযোগ কে কাজে লাগেই আপনার জীবন বদলে যেতে পারে ।
আমরা অনেক সময় আজকে সময়টা খারাপ দেখে ভয় পেয়ে যাই হাল ছেড়ে দিতে চাই এবং আগামীকাল যখন পরিস্থিতি আরও কঠিন দেখি তখন আমরা আর টিকতে না পেরে হাল ছেড়েই দেই কিন্তু আমরা কিছুক্ষনের জন্য ভুলে যাই যে আজ খারাপ আগামীকাল খারাপ তবে পরশু কিন্তু রোদ উঠবে জীবনে সেই দিনের জন্য ধৈর্য ধরে রাখতে হবে কারন ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয় সবাই আমরা জানি তাই পরিস্তিথি যতই কঠিন হোক না কেন হাল ছাড়া যাবে না।
কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের এ কবিতাটি পড়েনি বা শোনেনি এমন মানুষ খুবই কমই আছে ছোট বেলায় বোধহয় আমরা সবাই এই কবিতাটি পড়েছি বা শুনেছি । কবি এখানে যে কথাটি বুঝাতে চেয়েছে তা হল যে কোন জিনিস বার বার চেষ্টার মাধ্যমে আয়ত্ত বা অর্জন করা সম্ভব, কিন্তু যদি বার বার চেষ্টার পরেও অর্জন না হয় তাহলে যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানে গিয়েই পরবেন তবে সেখান থেকে আবারও চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে সেখান বের করে নিয়ে আসতে হবেই এবং জ্যাক মা ও বুঝাতে চেয়েছেন যে আপনি বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরে পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরে যাবে কিন্তু আপনার চেষ্টা বন্ধ করা যাবে না আপনাকে বার বার কবির ভাষায় শত শত বার চেষ্টা করে যেতে হবে সফলতা আনতেই হবে ।
Author: Rahat Hossain
0 মন্তব্যসমূহ